এটি 25টি আধ্যায়ে বিভক্ত, গ্রন্থটি প্রথমে তিন খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিল বুলাক ছাপাখানা থেকে 1876 সালে। এরপরে 1953 সালে কায়রোতে এটি 5 খন্ডে প্রকাশিত হয়। অনেকের মতে লেখক স্বয়ং তার এই অনন্য গ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন العقد (কণ্ঠহার) পরবর্তীতে শিহাবউদ্দিন বা বাহাউদ্দিন তিনি الفريد (অনন্য) শব্দটি যুক্ত করে দিয়েছিলেন।
ইবনে আবদে রাব্বিহি লেখার ক্ষেত্রে যাদের গ্রন্থসমূহের উপাদান সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন: আসমায়ী, আবু ওবায়দা, জাহিয এবং ইবনুল কালবি প্রমূখ গ্রন্থকার বৃন্দের। আলোচ্য বই সম্পর্কে বুয়াইয়া এর উজির সহেব বিন আববাদ এই গ্রন্থের সুনাম শ্রবণ করে গ্রন্থটি আনিয়ে পড়ে দেখে বলেছিলেন "এটা আমাদের পণ্যদ্রব্য যা আমাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে আমি মনে করেছিলাম এতে তাদের দেশের কিছু তথ্য থাকবে কিন্তু এখন দেখছি এর মধ্যে রয়েছে আমাদের দেশের তথ্যাদি" এই বলে তিনি গ্রন্থটি ফেরত দিয়েছিলেন।
সমগ্র গ্রন্থটিকে লেখক পঁচিশটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন বিষয়বস্তু অনুযায়ী প্রত্যেকটি অধ্যায়ের আরম্ভে তিনি একটা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সংযোজিত করেছেন বক্তব্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে পাঠক-পাঠিকার অনুধাবনের সুবিধার জন্য তিনি প্রত্যেকটি অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন এক একটা মূল্যবান মনি মুক্ত নামে যেমন: اللؤلؤة، الفريد، الجمانة، المرجانة، الواسطة، الياقوتة ইত্যাদি।
নিম্নে গ্রন্থটির বিষয়বস্তু আলোচনা করা হলো:
সরকার, যুদ্ধ, দানশীল ব্যক্তি, ধর্মীয় জ্ঞান, প্রবাদ বাক্য, সংসার ও বৈরাগ্য সম্পর্কে, খলিফাদের ইতিহাস, জিয়াদ, হাজ্জাজ, তালিবান ও বার্মাকী সম্পর্কে, কবিতার গুণাবলী, বাদ্য ও সঙ্গীত ও নারী জাতি সম্পর্কে।