Introduction of Arabic Prose and Its Brief History. Unit- 3

১) الخِطَابَة বা বক্তৃতা: সাধারণত কোনো রাজার রাজ দরবারে, যুদ্ধের ময়দানে, বিশিষ্ট অনুষ্ঠান বা মেলায় গণসমাবেশে বক্তৃতা প্রদান করাকে الخِطَابَة বলে। যেমন- কিসরার দরবারে আকসাম ইবনে সাইফীর ভাষণ, উকাযের মেলায় খাতীব কুস ইবনে সাঈদ আল-ইয়াদীর ধর্মবিষয়ে বক্তৃতা ও যুদ্ধের ময়দানে তারিখ বিন যিয়াদ এর ভাষণ ইত্যাদি।

২) الوَصَايَا বা উপদেশমালা: মৃত্যুর পূর্বে অথবা বিশেষ কোন সময়ে প্রিয়জনদের ডেকে পার্সোনাল ভাবে উপদেশ দেওয়া বা কিছু বলে যাওয়া, ‌এ ধরনের কথামালাকে الوَصَايَا বা وَصِيَّة বলে। যেমন- যুহায়র ইবনে জনাব আল-কালবী তার সন্তানদের অসিয়ত করেছিলেন, এক বেদুঈন মহিলা তার সদ্য বিবাহিতা কন্যাকে উপদেশ দিয়েছিলেন ইত্যাদি।

৩) الأمثَال বা প্রবাদবাক্য: যেসব বাক্য বা উক্তি সংক্ষিপ্ত আকারে কোনো বিশেষ অর্থ বহন করে, যার মাঝে কোনো বাস্তব সত্য নিহিত রয়েছে এবং সেই উক্তি দীর্ঘদিন ধরে লোকের মুখে মুখে চলে আসছে সেটাকেই الأمثَال বা প্রবাদবাক্য বলে। যেমন- আল-মায়দানী এর গ্রন্থ 'মাযমাউল আলসাল' যেখানে তিনি ছয় হাজারেরও অধিক প্রবাদবাক্য সংগ্রহ করেছেন।

৪) الحِكَم বা তাৎপর্যপূর্ণ কথা: গভীর জ্ঞান ও যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে যাবতীয় বিষয়বস্তুকে সঠিক জ্ঞান দ্বারা জানা বা অর্জিত জ্ঞান সঠিকভাবে কাজে লাগানোর বিশেষ জ্ঞানকে الحِكَم বা প্রজ্ঞা বলে। যেমন- এখানে আমরা আকসাম ইবনে সাইফীর ও কুস ইবনে সাঈদ আল-ইয়াদীর নাম উল্লেখ করতে পারি।

৫) المَقَامَة বা বৈঠক: আরবি গদ্য সাহিত্যের একটি অংশ হল আল-মাকামা যার অর্থ হলো বৈঠক বা স্থান। আর তা হলো এক ধরনের প্রবন্ধের সমষ্টি যা আব্বাসী যুগের মধ্যভাগে উৎপত্তি লাভ করে। যেমন- বাদিউজ্জামান ও আল-হারীরির মাকামাসমূহ।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post