 |
طه حسين |
তিনি কায়রোতে দু সপ্তাহ বা তার অধিক অবস্থান করলেন। তিনি জানতেন না যে কি করবে তাই তিনি গ্রাম ত্যাগ করলেন এবং রাজধানীর দিকে প্রত্যাবর্তন করলেন জ্ঞান অন্বেষণ করার জন্য সেখানে অনেক দিন অবস্থান করলেন। কায়রোতে পাঠ বা অনুশীলন এর মজলিসে যাওয়া-আসা করতে লাগলেন। এবং তিনি তাঁর দিনগুলি অতিবাহিত করতে থাকলেন তিনটি স্তরে যেটা তিনি কল্পনা করেছেন উপলব্ধি করতে পারেননি।
তিনি একটি অপরিচিত বাড়িতে থাকতেন যার দিকে দুটি অপরিচিত রাস্তা যেত। যখন তিনি আজহার থেকে ফিরতেন তিনি ডান দিক দিয়ে চলতেন। এবং এমন একটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেন যেটি দিনের বেলায় খোলা থাকতো এবং রাত্রিবেলায় বন্ধ থাকতো। এবং এর মাঝে একটি ছোট ছিদ্র ছিল যেটা এশার নামাজ পড়ার পর খোলা হত। যখন এই দরজাটা অতিক্রম করতেন তখন তিনি তার ডান দিকে হালকা উষ্ণতা অনুভব করতেন যেটা তার চেহারার ডান পাতা বা গালে লাগতো। এবং হালকা ধোঁয়া অনুভব করতেন যেটা তার নাকে এসে লাগত। এবং বাম দিক থেকে একটা অপরিচিত শব্দ অনুভব করতেন যেটা তার কানে এসে পৌঁছাতো এবং তার মনে আশ্চর্যজনক এক উত্তেজনা সৃষ্টি হতো।
 |
جامعة الأزهر |
কয়েকদিন ধরেই এই আওয়াজটা তিনি শুনতে পেতেন যখন সকালবেলায় এবং সন্ধ্যাবেলায় আজহার থেকে ফিরতেন। এই আওয়াজটা শুনতে পেতেন এবং অপছন্দ করতেন এবং লজ্জা পেতেন এই ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করা। অতঃপর কিছু কথা দ্বারা তিনি বুঝতে পারলেন যে সিসা বা হুকার কর কর শব্দ যেটাকে গোত্রের কিছু ব্যবসায়ীরা ধোঁয়া দিত। এবং কফি ওয়ালা প্রস্তুত করতো যেটা থেকে উত্থিত হতো সেই উষ্ণতা এবং সেই হালকা ধোঁয়া। এবং যখন আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতেন এবং সেই আচ্ছাদিত সিক্ত স্থানটা অতিক্রম করত যেখানে পা স্থির থাকতো না কফি ওয়ালা এর বেশি বেশি জল ঢালার কারণে। তিনি বের হতেন একটা ফাঁকা জায়গার দিকে কিন্তু সেটা ছিল অপরিষ্কার ছোট্ট জায়গা যেখান থেকে জটিল অপরিচিত দুর্গন্ধ উত্থিত হত যেটা আমার সাথীগণ উপলব্ধি করতে পারত না।
 |
হুক্কা |